চট্টগ্রাম টু চাঁদপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২২- টিকিটের মূল্য, ট্রেন ট্রাকিং, রুট ম্যাপ, ভাড়া এবং ছুটির দিন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আসসালামু আলাইকুম। রেলপথে ভ্রমণ করার ফিলিংস টাই অন্যরকম ভাবে কাজ করে। নেই কোনো ট্রাফিক জ্যাম, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অনায়াসেই যাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় কাজে কিংবা ভ্রমণের উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর নিশ্চয়ই যান। আর এই ভ্রমণের বহর হিসেবে যদি ট্রেন কে বেঁচে নেওয়া হয়। তাহলে তো কোনো কথায় নাই।
হ্যাঁ বন্ধুরা, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য যে রেলপথের ট্রেন সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে থাকেন। তাহলে আমার এই আর্টিকেলে আপানাদের স্বাগতম। আজকের আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাওয়ার যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে।
আর্টিকেলে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর যাওয়ার ট্রেনটির সমায় সূচী, বন্ধের দিন, টিকিটের মূল্য। আপনারা যারা এই সম্পর্কে জানতে চান। তাদের উদ্দেশ্য বলি আর্টিকেলটি একটু স্টেপ বাই স্টেপ পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
চট্টগ্রাম টু চাঁদপুর ট্রেনের সময়সূচি
চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর রুটে সাগরিকা এক্সপ্রেস (২৯) এবং মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯) নামে দুটি ট্রেন সচারাচর চলাচল করে। যাত্রীদের নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবসময় ট্রেন দুটো এলার্ট থাকে। যাত্রীদের সুবিধার্তে সপ্তাহে সাতদিন চলাচল করে। কোনো দিন বন্ধ থাকে না। ট্রেন যাত্রা সবার কাছে পছন্দনীয়। ট্রেনের যাত্রা হয় থাকে নিরাপদ। আর ট্রেনে যাত্রা করলে সময় সাশ্রয় হয়। কারন,কোনো ট্রাফিক জ্যাম ফেস করতে হয় না। তাই অনায়াসেই যাওয়া যায় গন্তব্য স্থলে।
অনন্য যানবাহনে তুলনায় ট্রেনের যাত্রা অনেক নিরাপদ,ঝামেলা মুক্ত,এমনকি টিকিটের দামও কম। তাই আমি মনে করি ট্রেনে যাত্রা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি আনন্দময়ক ভ্রমণ। তাই আপনারা যারা অতি দ্রুত কোনো অফিশিয়াল কাজে কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে যাওয়ার নিয়ত করছেন তারা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন।
তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে।
ট্রেনের নাম | সাপ্তাহিক ছুটির দিন | ট্রেন ছাড়ার সময় | ট্রেন পৌছানোর সময় |
সাগরিকা এক্সপ্রেস(২৯) | নাই | ০৭ঃ৩০ | ১৩ঃ০০ |
মেঘনা এক্সপ্রেস(৭২৯) | নাই | ১৭ঃ১৫ | ২১ঃ২৫ |
চট্টগ্রাম টু চাঁদপুর ট্রেনের টিকিটের মূল্য
ট্রেনের টিকিটের মূল্য না জানলে অনেক বিভ্রান্তির স্বীকার হতে হয়। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃক সকল শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে ট্রেনের ভিতরে থাকা বিভিন্ন আসনের দাম উল্লেখ করছে। স্বল্প টাকা কিংবা বেশির টাকার জন্য বিভিন্ন আসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যেনো সাধারণ মানুষও ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে।
নিচে চট্টগ্রাম টু চাঁদপুর ট্রেনের টিকিটের তালিকা দেওয়া হলো। টিকিট আপনি দুই নিয়মে সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইনে মাধ্যমে কিংবা টিকিট কাউন্টারে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে। তবে আমি যেটা ভালো মনে করি আপনি অনলাইনে টিকিট বুকিং দিতে পারেন। এতে করে আপনার হয়রানি স্বীকার হতে হবে না। তাহলে নিচে উল্লেখিত টেবিলে আসন অনুযায়ী টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আপনি চাইলে তা পড়ে আসতে পারেন।
ট্রেনের আসন বিভাগ | টিকিটের দাম |
এসি বার্থ | ৬৭৩ টাকা |
এসি | ৪৪৯ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৩৭৪ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৩৯০ টাকা |
প্রথম আসন | ২৬০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ১৯৫ টাকা |
শোভন | ১৬৫ টাকা |
- শেষ কথা
সম্মানিত ভিউয়াস, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। আর হ্যাঁ, আমার আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি একটুও উপকৃত হন, তাহলে আমি নিজকে ধন্য মনে করবো। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয়ে আর্টিকেল লেখার। তাই আপনারা যারা আপডেট কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তারা প্রতিনিয়ত আমার সাইটে ভিজিট করতে পারেন। আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনারা কমেন্ট সেকশনে কমেন্টের মাধ্যমে বলতে পারেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখার। এই আশা ব্যক্ত করে আবারো সালাম দিয়ে শেষ করছি আচ্ছালামু আলাইকুম।