টিপস ও ট্রিকস

পাসপোর্ট এবং ই-পাসপোর্ট আবেদন ও চেক করার প্রক্রিয়া ২০২২

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম। আবারও স্বাগতম নতুন একটি আর্টিকেলে। পাসপোর্ট শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত এটি একটি ফারাসি শব্দ। আর পরিচিত হবে না কেন? আপনি নিশ্চয়ই জানেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে গমন করতে পাসপোর্টের প্রয়োজন। যাতায়ত হোক বিমানে,ট্রেনে,কিংবা জাহাজে তার জন্য প্রয়োজন পাসপোর্টের। 

আর আপনি পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই যদি অন্য দেশে গমন করেন। আর তাহলে সেটা হবে অনুপ্রবেশ। ভাই আর যদি আপনি ধরা খেয়ে যান তাহলে তো বুঝতেই পারছেন আপনার দশা কি হবে। আর তাই প্রত্যেক নাগরিকদের উচিৎ অন্য দেশে গমন করার পূর্বে পাসপোর্ট  করা। 

আপনি কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন এবং তা যাচাই করবেন আবেদন হয়েছে কিনা? আর আজকে আমি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আর আপনার যদি জানার একান্তই ইচ্ছে থাকে তাহলে দয়াকরে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

ই-পাসপোর্ট কি?

এমআরপি পাসপোর্টের নতুন রুপ হলো ই-পাসপোর্ট। বর্তমান বিশ্বের পাসপোর্টের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আর বাংলাদেশ সরকার মুজিববর্ষে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি থকে নাগরিকের সুবিধার জন্য চালু করে। পাসপোর্টটি সিম কার্ডের মতো ছোট চিপস লাগানো থাকা যা বহন করা খুবই কমফোর্টেবল। চিপটিতে সংযোজন করা আছে মাইক্রো প্রসেসর ও এন্টেনা। 

পাসপোর্টধারীর পাসপোর্টটি শনাক্ত করণের জন্য তিন ধরনের পদ্ধতি সংযোজন করা যাবে। যেমনঃ চোখের আইরিশ, আঙ্গুলের ছাপ, পাসপোর্টধারীর তিন প্রকার ছবি। আর একটা খুশির সংবাদ যে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই অত্যাধুনিক পাসপোর্টটি সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ইস্যু করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা 

১. অনলাইনে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবস্থা রয়েছে। 

২. তৎক্ষনাৎ মনিটারিং ব্যাবস্থা রয়েছে। 

৩. অনুমোদন পদ্ধতি ইলেকট্রনিক্স ব্যবস্থা রয়েছে। 

৪. ই-পাসপোর্টে ছবি, আঙ্গুলের ছাপ,আইরিশ, স্বাক্ষর ডিজিটাল ফরমেট ব্যবহার করছে।

৫. কেন্দ্রীয় পারসোনালাইজেশন ব্যবস্থা রয়েছে। 

অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া 

প্রথমেই ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে www.passport.gov.bd লিখে সার্চ করুন। এ পর্যায়ে আপনি সেখানে একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। হোম পেইজের উপরের দিকে অনলাইন এপ্লিকেশনে Click করুন। সেখানে কিছু নীতিমালা দেখতে পারবেন এবং কন্টিনিউ এনারোলমেন্টে Click করুন।

স্টেপ ১ঃ

Applying: সেখানে ক্যান্টি সিলেক্ট করুন। কোন ক্যান্টি থেকে আবেদন করতেছেন।

স্টেপ ২ঃ

অ্যাপ্লাইং ধরনঃ আপনি যদি নতুন করে অ্যাপ্লাই করেন তাহলে অ্যাপ্লিকেশন লিখতে হবে। আর রিনিউ করতে হলে অন্য লিংকে যেতে হবে।

স্টেপ ৩ঃ

পাসপোর্টের ধরনঃ আপনি কোন ধরনের পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন তা লিখতে হবে। সাধারণ, ডিপ্লোমেটিক,অফিশিয়াল যে বিষয়ে পাসপোর্ট করেন না কেন? তার সার্পেটিং কাগজপত্র জমা দিতে হবে। 

স্টেপ ৪ঃ 

ডেলিভারীর ধরনঃ আপনি যদি রেগুলার ডেলিভারি নেন তাহলে রেগুলার লিখুন।  আর যদি জরুরি হয় তাহলে একপ্রেস লিখুন।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো নির্ভুল ভাবে পূরণ করুন। আর সবগুলো তথ্য ফিলাপ করা হলে সেখানে সেইভ অপশন আসবে আপনি তা সেইভ করে নিন। আপনার নিবন্ধনটি সম্পুর্ন হলে সেখানে দেখাবে এবং আপনার ইমেইলে একটি মেসেজ আসবে সেখানে নাম্বার ও পাসওয়ার্ড উল্লেখ থাকবে।

পরিশেষে পেমেন্ট অপশন আসবে এখন আপনি যদি চান ক্রেডিট কার্ড,ডেবিট কার্ড  কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উক্ত টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। আর আপনি যদি মনে করেন এই মূহুর্তে টাকা নাই তাহলে চিন্তার কিছু নাই। পেমেন্ট অপশনটি স্কিপ করুন আর পরবর্তী যেকোনো সমায়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। আবার ১৫ দিন পর আপনার আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, আইরিশ স্ক্যান, স্বাক্ষর লাগবে। আর আপনি তা প্রদানের জন্য স্ব-শরীরে পাসপোর্ট অফিস যেতে হবে।

পাসপোর্ট যাচাই প্রক্রিয়া 

ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং খুব সহজেই আপনার পাসপোর্টটি যাচাই প্রক্রিয়া করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *