লাইফস্টাইল

মোস্তাফিজুর রহমানের জীবনী,মাসিক আয়,শিক্ষাগত যোগ্যতা,বয়স,বউ এবং ক্যারিয়ার

কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছেন । তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে জায়গা দখল করে নিয়েছেন। তার নতুন উদ্যোমে বল করার কারণে তিনি খ্যাত হয়েছেন কাটার মাস্টার হিসেবে। তিনি বিশ্বের একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড় যিনি প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিতে সক্ষম হন। ঘরোয়া ক্রিকেট আসরে তিনি আবাহনী ও খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

২০১৬ সালের ইন্ডিয়ার আইপিএলে সানরাইস হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলেছিলেন।ইংল্যান্ডের ন্যাস্টওয়েস্ট T-20 তে সাসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলায় অংশগ্রহন করেছিলেন। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড় যিনি উভয় একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টেস্টের অভিষেকে ‘ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ’ পুরস্কার লুপে নিয়েছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যক্তিগত তথ্য || মোস্তাফিজুর রহমানের জীবনী

পূর্ণ নাম মুস্তাফিজুর রহমান
জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ (বয়স ২৫) কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাংলাদেশ
উচ্চতা     ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
বোলিংয়ের ধরনঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ব্যাটিংয়ের ধরনঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান
ভূমিকাঃ বোলার
বিবাহঃ  ২০১৯ সালের ২২ মার্চ তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর || mustafizur rahman

খেলার সন দলের নাম
২০১৪-বর্তমান খুলনা বিভাগ
২০১৬-বর্তমান  মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
২০১৫-বর্তমান  ঢাকা ডায়নামাইটস
২০১৬-বর্তমান লাহোর কালান্দার্স
২০১৬-বর্তমান     সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
২০১৬-বর্তমান সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
২০২০-বর্তমান    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম
২০২১-বর্তমান     রাজস্থান রয়্যালস
২০২২-বর্তমান   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

মোস্তাফিজুর রহমানের ২০১৫ সালে আইসিসি ঘোষিত আইসিসি বর্ষসেরা দলে অর্ন্তভুক্ত হন। এরপর ২০১৮ সালে আইসিসি সেরা একাদশ তালিকায় থাকার মর্যাদা লাভ করেন।

mustafizur rahman lifestyle

মোস্তাফিজুর প্রারম্ভিক জীবন || mustafizur rahman lifestyle

খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার, কালিগঞ্জ উপজেলা, তেঁতুলিয়া গ্রামের বামহাতি প্রেসার মোস্তাফিজুর রহমান জন্মগ্রহণ করে। তিনি প্রথম 2012 সালে ঢাকায় আসেন এবং ফাস্ট বোলারদের ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে। তার নিজ শহর সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৭ অসামান্য পারফরম্যান্স দেখাতে একান্তই সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর থেকে বিসিবি  তাকে পেস ফাউন্ডেশনে খেলার সুযোগ করে দেন। বাংলাদেশ  অনূর্ধ্ব ১৯  খেলার সময়  নির্বাচক মন্ডলী  তার খেলা দেখে আকৃষ্ট হন। এরপর থেকেই .২০১৫ সালে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ অর্জন করে  নেন।

T20 আন্তর্জাতিক || মোস্তাফিজুর রহমানের জীবনী

ঘরোয়া ক্রিকেটে আসরে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় ২৪এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান  ম্যাচে একমাত্র T20 আন্তর্জাতিকে খেলার সুযোগ পান। আর এই অভিষেক ম্যাচেই  তিনি পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট পান। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। আর এই ম্যাচেই তার  টুয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এমনকি খুশির খবর যে, সেই ম্যাচেই বাংলাদেশ প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হন।

মোস্তাফিজুর এর আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন || মোস্তাফিজুর রহমানের জীবনী

এর দুইমাস পর ১৯ জুন, ২০১৫ তারিখে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের মাধ্যমে  তার ওডিআই একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। অভিষেক ম্যাচেই তিনি পাঁচ পাঁচটি উইকেট লুফে নেন নেন আরে ইউ উইকেট লাভ করার মাধ্যমে ম্যাচ সেরা হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পরে ২১ জুনেও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেটের পতন ঘটিয়েবম্যাচ সেরা  নির্বাচিত হন। তিনি বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যে প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন৷ আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ব্রায়ান ভিটোরি যে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে পাঁচ-উইকেট লাভের বিরল এক কীর্তিগাথা রচনা করেন। 

মুস্তাফিজুর তার প্রথম দুইটি ওডিআইয়ে ৫/৫০ ও ৬/৪৩ লাভ করেন। তার এ ক্রীড়ানৈপুণ্যে এবং সাধনা ওডিআইয়ের ইতিহাসে অনান্য বোলার থেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে গেছে। তার এ অসম্ভব বোলিংয়ের ফলে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভিটোরি’র বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫/৩০ ও ৫/২০ ম্লান হয়ে যায়।

মোস্তাফিজ তৃতীয়বারের মতো ভারত বনাম বাংলাদেশ ২০০ রানের নিচে রাখতে সক্ষম হন। এমনকি বাংলাদেশকে পঞ্চমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়ী করে দেন। যার ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আসর আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরে উঠে যায় ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম অবস্থানে থাকেন। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে মুস্তাফিজুরের ৬/৪৩ বোলিং পরিসংখ্যান বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা। তার পূর্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৬/২৬ (ব কেনিয়া, ২০০৬) ও রুবেল হোসেন ৬/২৬ (ব নিউজিল্যান্ড, ২০১৩) রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর এর রেকর্ড সমূহ || মোস্তাফিজুর রহমানের জীবনী

  1. তিনি ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান।
  2. তিনি বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান
  3. আর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০: সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক।

কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খুব দ্রুত সময়ে নিজের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। তার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে তিনি সব ম্যাচে সফলতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আইপিএল ও কাউন্টি লীগের মতো খেলায় তাকে ডাকা হয়। কিন্তু কিন্তু হঠাৎ ইনজুরির কারণে অনেকদিন যাবত খেলতে পারেননি। আর সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলায় তার পারর্ফারমেন্স অনেক অনেক ভালো ছিলো।

একটি ম্যাচে ক্রিটিকাল সময়ে রান কম দেওয়ার কারনে বাংলাদেশ দল সে ম্যাচে জিততে সক্ষম হন। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ সবসময় একজন সেরা খেলোয়াড় হিসাবে থাকবেন বলে জাতি আশা করে। তিনি তার কৌশলী বোলিং পারর্ফরমেন্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দলকে অনেক আর্ন্তজাতিক ট্রফি এনে দিতে সক্ষম হবেন।

মোস্তাফিজুর রহমান কত টাকার মালিকঃ আপডেট আসতেছে,আমাদের সাথেই থাকুন।

মোস্তাফিজুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপডেট আসতেছে,আমাদের সাথেই থাকুন।

মোস্তাফিজুর রহমান এর বউঃ আপডেট আসতেছে,আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *