বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, কবিতা, উক্তি, মেসেজ, ছবি, অনুচ্ছেদ রচনা ও ফেসবুক স্ট্যাটাস
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, কবিতা, উক্তি, মেসেজ, ছবি, অনুচ্ছেদ রচনা ও ফেসবুক স্ট্যাটাস ইত্যাদি বিষয় নিয়েই আজকের এই নিবন্ধটির পরিপূর্ণ করা হয়েছে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনারা যারা বিজয় দিবস সামনে রেখে প্রিয় মানুষের সাথে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে চাচ্ছেন। তাদেরকেই আমাদের এই নিবন্ধনে স্বাগতম জানাই।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারা বাংলাদেশের শহীদের আত্মার মাগফেরাত এর জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়। আর বাংলাদেশে এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদার সহিত পালন করা হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আজকের এই স্বাধীন দেশ আমরা পেয়েছি। আর এই দিনটির তাৎপর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের মানচিত্র বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। 30 লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের সূত্রপাত ঘটে। এই বাংলাদেশের সার্বভৌম রক্ষার জন্য হাজারো মা-বোন অনেক নির্যাতিত হয়েছে।
বাংলার অবিসংবাদিত নেতা যিনি জন্ম না নিলে হয়তো বা আজকের এই স্বাধীন দেশ পেতাম না। তিনি বাঙালি জাতিকে এক হওয়ার জন্য মূল মন্ত্র বলে দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ জাতির উদ্দেশে পেশ করেছিলেন। তা বাঙালি জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের 16 ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করছি।
বিজয় দিবস টি আমাদের কাছে একটি আনন্দময় এবং গৌরবময় একটি দিন। আর এই দিনটিকে আমরা নানা রকম আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করি। আপনারা যারা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কবিতা মেসেজ ছবি এবং ফেসবুকে স্ট্যাটাস ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তাদেরকে আমরা আমাদের এই নিবন্ধনের মাধ্যমে জানিয়ে দেব।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ তাহলে চলুন আর অপেক্ষা না করে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, কবিতা, উক্তি, মেসেজ, ছবি, অনুচ্ছেদ রচনা ও ফেসবুক স্ট্যাটাস ইত্যাদি বিষয় নিয়েই জানা যাক।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা || বিজয় দিবস নিয়ে উক্তি
আমরা এই পর্যায়ে আলোচনা করব বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আজকের বিষয় আমরা অর্জন করছি। আর এই বিজয় আমরা এমনি এমনি পাইনি, বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা এই বিজয় পেয়েছি।
আপনারা হয়তোবা এই 16 ডিসেম্বরের বার্তা গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করতে চাচ্ছেন। তাদের কে আর অন্য কোথাও কিংবা অন্য কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে না। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে।
আমরা এখানে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা গুলো লেখা আকারে প্রকাশ করছি সেখানে আপনারা লেখাগুলো কপি করে নানারকম সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
আরো জানতে ক্লিক করুন
♦ একটি বাংলাদেশ তুমি… জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমারঅহংকার। সারা
বিশ্বের বিস্ময় এইবাংলাদেশের জন্য আসুন আমরা সবাইমিলে কাজ করি।
♦ ১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান,
স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।
♦ বিজয় মানে একটি লাল পতাকা, বিজয়’ মানে একটি মানচিত্র, বিজয় মানে গৌরব,
বিজয় মানে আনন্দ বিজয় উল্লাস. স্বাধীনতার ৫০তম উদযাপন উপলক্ষে
সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে , দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই ,
আমি স্বাধীনতা কে চাই । আমি বিজয়ের পতাকা ধরে , সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই
। মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
♦ আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান
বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।
♦ আমরা লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আশা, তাই প্রশ্নবিদ্ধ
স্বাধীনতাকে উত্তরই মেলাবার আজই তো সময়- সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের
শুভেচ্ছা ।
মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত, এই হোক অঙ্গীকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশলক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করলো আত্মসমর্পণ।
বীর বাঙালিদের কাছে তারা করেছিল শির অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে!
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষাণ বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা;
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
এত বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দূর করতে হবে বৈষম্য বিভাজন, চাই অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, আছে ষোল কোটি জনশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
এই বিজয়ের দিনে শীর্ষ রাজাকার গুলোকে যদি মীরপুর চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দেয়া যেতো , র কোটি কোটি বাঙালি খাঁচার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতো বাংলার বাঘের মতো সাহসী সন্তান দের হত্যাকারী দের নির্মম মৃত্যুর আনন্দ যজ্ঞ ।
কততম বিজয় দিবস ২০২২
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য
৫০ তম বিজয় দিবস
বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf
বিজয় দিবস কবে
বিজয় দিবস রচনা
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ কততম বিজয় দিবস
কততম বিজয় দিবস ২০২১
মহান বিজয় দিবসের পিকচার || বিজয় মানে কবিতা
আমরা এই পর্যায়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব বিজয় দিবসের পিকচার সমূহ নিয়ে. আপনারা যারা বিজয় দিবস সামনে রেখে নানারকম উৎসব উদযাপন করতে চাচ্ছেন।বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক টুইটারের মাধ্যমে বিজয় দিবসের পিকচার সমূহ শেয়ার করতে চাচ্ছেন। কিংবা আপনারা যারা মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে কিংবা ফেসবুক স্টোরি তে বিজয় দিবসের পিকচার সমূহ আপলোড করতে চাচ্ছেন। তাদেরকে আর অন্য কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে না আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা পেয়ে যাবেন।
এখানে আমরা বিজয় দিবসের পিকচার গুলো ডাউনলোড এর লিঙ্ক রেখে দিয়েছি। আপনারা চাইলে বিজয় দিবসের পিকচার গুলো বিভিন্ন ফরম্যাটে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আর আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যদি আপনারা একটু উপকৃত হন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
কততম বিজয় দিবস ২০২২
প্রিয় পাঠক ১৬ ডিসেম্বর ২০২২– ৫২ তম বিজয় দিবস।
বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা || বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি
বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শেয়ার করছি। আপনারা যারা বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নানারকম উৎসব উদযাপন করতে চাচ্ছেন। নানা রকম প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে এই পর্যায়ে আমরা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমরা এখানে বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা গুলো বিখ্যাত গুনি ব্যাক্তিদের কবিতাগুলো শেয়ার করছি। আপনার লেখাগুলো কপি করে নিতে পারেন, আর বিভিন্ন প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিরা বিখ্যাত কিছু কবিতা রেখে গিয়েছেন, যা আমাদের বিজয় দিবস কিভাবে ছিনিয়ে নিয়েছি তা স্মরণ করিয়ে দেয়। 30 লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা কিভাবে বিজয় দিবস অর্জন করছি সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানিয়ে দেয়।
মহান বিজয় দিবস
– আবু জাফর বিঃ
মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত এই হোক অঙ্গিকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত, দিয়ে বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করল আত্মসমর্পণ।
সেদিন তারা বাঙালিদের কাছে করেছিল শীর অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে,
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষান বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা,
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
৪৫বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দুর হয়নি বৈষম্য বিভাজন, আসেনি অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, সৃষ্টি করতে হবে গণশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত আজকের এই বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
★ লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ
বিজয় দিবস হয়
এই বিজয়টা ছিনে আনতে
লক্ষ প্রাণ ক্ষয়।
বিজয় দিবস এলে আমরা
দেশের গান গাই
রাজপথে বিজয় মিছিল
দেখে সুখ পাই।
বিজয় দিবসে বিজয় নিশান
দেখে মন ভরে
আনন্দে সব মাতোয়ারা
বাংলা মায়ের ঘরে।
যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে
বিজয় আনলো যারা
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান
ইতিহাসে তারা।
আলো ও আঁধার
-ফরিদ আহমদ ফরাজী
আঁধার আলো মিশলেই কালো
আলো শুধুই আলো
আঁধারে কে থাকতে চায়?
আলোর প্রদীপ জ্বালো।
হালাল হারাম মিললেই হারাম
হালাল শুধুই হালাল
হালাল কে পছন্দ করেন
আল্লাহ জাল্লি-জালাল।
বিজয় তুমি
-ফরিদ আহমেদ হৃদয়
বিজয় তুমি মুক্ত একটি পাখি
গগন তলে করছ ডাকাডাকি।
বিজয় তুমি গোলাপ জবা ফুল
শীতল জলের নদীর দুটি কুল।
বিজয় তুমি চাষির ফসল মাঠ
মাঠ জুড়ে ফলে ধান, গম আর পাট।
বিজয় তুমি লাল-সবুজ পতাকা
মুক্ত হাওয়ায় উড়ছ আঁকা বাঁকা।
বিজয় তুমি মায়ের মুখের হাসি
যেই হাসিকে সবাই ভালবাসি।
বিজয় তুমি একটি স্বাধীন দেশ
নামটি হলো সোনার বাংলাদেশ।
ষোলই ডিসেম্বরে
-হোসেন মোতালেব
একটি পাখি বাসার আশে
করছে উড়াউড়ি
এ বন থেকে ঐ বনেতে
করছে ঘুরাঘুরি।
অবশেষে বাঁধল বাসা
দীর্ঘ ন’মাস পরে
সেই পাখিটা তুলল ছানা
ষোলই ডিসেম্বরে।
সেই ছানাটি জানান দিল
বিশ্ববাসী শোন
বাংগালী এক বীরের জাতি
নয়তো ভিত কোন।
লক্ষ ভাইয়ের রক্তে কেনা
সবুজ বরণ পাখি
বিশ্ব সভায় সেই পাখিটা
করছে ডাকাডাকি।
সেই পাখিটা দেয় পরিচয়
বাংলাদেশের নামে
কেনা হল সেই পাখিটা
লক্ষ প্রাণের দামে।
মানুষ ওজন
-মেজু আহমেদ খান
টাকা ছাড়া হয় না কি ভাই মানুষ ওজন।
টাকাটা তো ক্ষণস্থায়ী সে-ই কি স্বজন?
টাকা ছাড়াও মানুষ ওজন হয়
তাই টাকাটা আমার কাছে সবার আগেই নয়।
টাকা দিয়ে অনেক কিছুই যায় না কেনা ভাই
বিদ্যা বুদ্ধি মান ইজ্জত আর কাম্য অনেকটাই।
মহান বিজয়
বিজয় তুমি ১৬ই ডিসেম্বর, লাখ শহীদের রক্ত মাখা প্রাণ—
বিজয় তুমি শাশ্বত বাংলার সোনালী ফসল-সরষে ফুলের ঘ্রাণ।
বিজয় তুমি সুন্দর বনের চিত্রাহরিণ আর দোয়েল,শ্যামা,টিয়া—
বিজয় তুমি উত্তাল সমুদ্র ঘেরা, সেন্ট মার্টিন-কুতুবদিয়া।
বিজয় তুমি শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস,
বিজয় তুমি বিশ্বখ্যাত বাংলার সোনালী আঁশ।
বিজয় তুমি জেমসের সোনার বাংলা-আমি তোমায় ভালবাসি,
বিজয় তুমি হায়দার হোসেনের গণতন্ত্রের হাসি।
বিজয় তুমি লাখ শহীদের রক্তভেজা দান,
বিজয় তুমি লাখ বাঙালীর মুক্তি কামী প্রাণ।
বিজয় তুমি জর্জ হ্যারিসানের স্বপ্নের বাংলাদেশ—
বিজয় তুমি লজ্জাবতী পল্লী তরুনীর মেঘবরন কেশ।
বিজয় তুমি বিশ্ব মানচিত্রে নতুন একটা দেশ—
বিজয় তুমি ছিনিয়ে এনেছ সোনার বাংলাদেশ।।
সাজজাদ হোসাইন খান
বেগুন ফুলে প্রজাপতির হাসি
কোথায় আছে এমন মজার বাঁশি
ভর দুপুরে রাখালিয়া বাজায় হেসে হেসে,
ধানের ক্ষেতে টিয়া পাখির মেলা
আসমানে যার নীল ধবলের ভেলা
হেলে দুলে জমায় পাড়ি, পাহাড় ঘেঁষে ঘেঁষে।
জোছনা মাখা চাঁদের সাদা ডিম
রাত নিশীথে ঝরায় কেমন হিম
সিক্ত করে ফুলপরীদের রঙিন যত পাখা,
অনেক ভোরে সূর্যমামা হাঁটে
উদাস করা যোজন যোজন মাঠে
সাতটি রঙের চেরাগ যেন উপুড় করে রাখা।
সরষে ফুলে হলদে হিরণ নাচে
কোন সে দেশের এমন শোভা আছে
রূপেতে যার হাজার কবি শব্দেরই জাল বোনে,
মন উড়ে যায় মাছরাঙাদের ভিড়ে
পাতার ফাঁকে টুনটুনিদের নীড়ে
ঘুম ভাঙে রোজ মুয়াজ্জিনের দরাজ গলা শুনে।
বিজয় কেতন
কিচিরমিচির পাখির সুরে উঠোন কোণে বসে
রোজ সকালে খোকন সোনা রঙের হিসাব কষে।
শিশির ভেজা মিষ্টি রোদের মায়ার পরশ মেখে
কিসের ছবি খোকন সোনা যাচ্ছো শুধুই এঁকে!
খোকার হাতে সবার চেনা দুইটা প্রিয় রঙ
কিন্তু মায়ের হয় না বোঝা খোকন সোনার ঠঙ।
ছবির আঁচড় দেখতে কেমন? ঠিক গোলাকার ডিম
তার উপরে আয়তক্ষেত্র দেখেই শরীর হিম!
খোকন সোনা মায়ের চোখে ক্যামনে দেবে ফাঁকি
কিসের ছবি বুঝতে মায়ের রইলো না আর বাকি।
ছবির গঠন দেখেই মায়ের চাঁদের হাসি গালে
কিসের ছবি? বিজয় কেতন সবুজ এবং লালে।
ঘুঘু পাখির বিজয়
একটি ঘুঘুর দুইটা ছানা তিড়িং বিড়িং নাচে
দূরের বনে বসতি তাদের শিউলী ফুলের গাছে।
হাসতো রোজই খেলতো রোজই ঘুরতো তারা বনে
বনটা তাদের মায়ের মতোই ভাবনা পুষে মনে।
একদা বনে আসলে শকুন করলো আদেশ জারি
থাকতে বনে রাখবে মনে আমার হুশিয়ারি।
কিন্তু ঘুঘুর বাচ্চা দুটো ভীষণ প্রতিবাদী
থাকবো নাকো রাজার শানে, এক কথা এক দাবি।
শুনেই শকুন চমকে উঠে দেখবো বেটা নবাব
রক্ত আগুন বুলেট ছুড়ে দিবোই কথার জবাব।
দেখবি তখন বুঝবি বাছা মরার কেমন সাধ
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয়ের প্রতিবাদ।
কিন্তু মায়ের হাজার-বারণ হৃদ মাজারে ভয়
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয় বাংলা জয়।
ছেলের মায়া প্রাণের মায়া আজকে মাগো থাক
বনটা জুড়ে রক্ত আগুন যুদ্ধে যাবার ডাক।
এমনি করে ঘুঘুর ছানা জয়ের মুকুট পরে
যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে।
সেদিন থেকেই ওই পতাকা লাল-সবুজে আঁকা
বিজয় তুমি দেশ ও জাতির স্বপ্ন কাজলমাখা।
১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে কবিতা | বিজয় দিবস কবিতা
ঘুম ভাঙ্গে রোজ
–
স্বাধীনতার ঋণ
-রওশন মতিন
বিজয় রথে আসাদের শার্টে উড়িয়ে নিশান,
দুঃশাসনকে রুখে দিতে প্রতিবাদের ঐক্যতান।
এদেশটা কার, উত্তাল বাংলা জাগ্রত জনতার,
বীর ইসা খাঁ, সূর্যসেন, তিতুমির আর অগ্নিবীণার।
অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু মুক্তচিত্ত অটল দীপ্ত,
বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা, স্বাধীনতার জন্য ক্ষিপ্ত।
যে রোদ্দুরে দস্যি ছেলে তেপান্তরে উড়ায় ঘুড়ি,
অবাক চোখে তাকিয়ে দ্যাখে, মুক্ত ডানার উড়াউড়ি,
সে কি জানে লাল-সবুজের এগিয়ে চলার বিজয় গাঁথা,
তার বুকে কি মেলছে ডানা লাল-সবুজের স্বাধীনতা।
দিন কি কেবল বদলে যাওয়া দিন বদলের দিন,
এই আলোতে উদ্ভাসিত বিজয় দীপ্ত স্বাধীনতার ঋণ।
বিজয় আমার
-এ কে আজাদ
বিজয় আমার
পতাকার রং
মানচিত্রের রেখা,
বিজয় আমার
আনন্দ ঘন
ভিটে-মাটি ফিরে দেখা।
বিজয় আমার
স্মৃতির মিনার
সৌধ চূড়ার গান,
বিজয় আমার
স্বাধীন দেশের
সুখভরা অফুরান।
স্বাধীনতা তুমি
-কাজী আবুল কাসেম রতন
স্বাধীনতা তুমি
বাংলা দেশের
বাংলা মায়ের
শুভেচ্ছা।
স্বাধীনতা তুমি
দাদুর মুখে
রূপকথারই
সু-কিচ্ছা
স্বাধীনতা তুমি
সূর্যে ভাষা
রক্তিম হেম।
স্বাধীনতা তুমি
মুক্তি সেনার
মুক্ত প্রেম।
স্বাধীনতা তুমি
উড়ে যাওয়া,
স্বাধীন পাখির
প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা তুমি
প্রিয় জনতার
প্রেম প্রীতি জয়
ভালবাসা।
লাল সবুজের স্মৃতি ঘেরা নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষণ, এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।
এসো খোকা এসো খুকু
ঘুমিয়ে থেকো না আর
তাকিয়ে দেখ সম্মুখে তোমার
মুক্ত আলোর দুয়ার।
চলো খোকারা চলো খুকুরা
হও প্রাণ উচ্ছল
জাতি হিসেবে স্বাধীন তোমরা
রেখো দৃঢ় মনোবল।
তোমাদের পিতা তোমাদের মাতা
ছিলো এ দেশেরই সন্তান
স্বাধীন করতে এ দেশ তারা
করেছেন জান কোরবান।
তাদেরই আশিস পেয়েছো তোমরা
গড়ে তুলবে এ দেশ
সাজিয়ে দিও বাংলাদেশেরে
প্রাণ করে নিঃশেষ।
যখন সুখ মানে,দেখছি অনাহারে কোটি মানুষের দিন কাটছে অনিদ্রায়
যখন স্বাধীনতা মানে,কোটি মানুষ কাঁদছে পরাধীনতায়
এ দেশ ভুল পথে বিকৃত,ভাঙ্গা হাতে লাঞ্ছিত,কৃষকের স্বপ্ন ধূসর,বিবর্ণ
যখন রাজনীতি মানে,হাজার প্রতিশ্রুতি,আর স্বপ্ন দিন বদলের
যেখানে গনতন্ত্র মানে রাজপথে ছুটে চলা নীল মার্সিডিস
যখন প্রতিবাদ মানে দাউ দাউ করে জ্বলছে মানুষের লাশ
যখন আন্দোলন মানে টকশোতে দুটো গালি শুনে,রাজনীতির মুন্ডুপাত
আর হাসি মুখে মেনে নেয়া শত অবিচার
যখন ক্ষণিকের দেশপ্রেম থেকে বিজয় মিছিল স্মৃতিসৌধে
আর প্রতিজ্ঞা,দেশকে ভালোবাসার
তখন চলুক,যেমন চলেছে………..
জামসেদ ওয়াজেদ
পিঁপড়া কাহিনী শেষে
বিমূর্ত সকাল এক বয়ে আনে শীত আর অতীত কাহিনী
তখনও বারুদ ঘ্্রাণে কেঁপেছিল এ ভূমির শতত পরত
পিঁপড়া কাহিনী শেষে জেগে ওঠে ঘোড়াশালা আর ঐরাবত
আরো জাগে এ ভূমিতে কৃষাণ যুবক বৃদ্ধা আমার বাহিনী
পিতার পায়ের ছাপ দেখে দেখে কত বীর দিয়ে গেছে প্রাণ
দেখবে দেখবে বলে কেবলি একটি ফুল সাজানো বাগান
ফুটেছিল সেই ফুল গেয়েছিল শুকপাখি বিজয়ের গান
ভূমিতে রক্তের দাগ সোঁদা মাটি এঁটেলে তো তারই প্রমাণ
আমার শহর থেকে আজকাল চুরি হয় দিনের আলোরা
আমাদের হস্তরেখা বোঝে না তো বিশেষজ্ঞ জ্যোতিষী প্রখর
সম্মানিত চোরগণ বিজয় শরাব খায় ঠিক অতঃপর
তফাত বোঝে না আজো এ ভূমিতে বাস করা সাদা ও কালোরা
তবুও বিজয় তুমি বারবার ফিরে এসো আমাদের হাতে
আমরা তোমাকে চাই সাহস ও বস্ত্রহীন শীতের প্রভাতে.
শাহনেওয়াজ চৌধুরী
দেশ আমার, মাটি আমার
এখানে মাটির মায়ায় ঘুমিয়ে আছে শহীদের প্রাণ
হাজারো পাখি ডাকে, বুকে রাখা ফুলের ঘ্রাণ,
এখানে নদীরা ছোটে বুকে তার নীল নীল ঢেউ
কত যে সুখের সুর, খালি হাতে ফেরে না তো কেউ।
এখানে সগৌরবে কন্যা চায় জনকের চোখে
সম্ভ্রম হারানো নারী বেঁচে আছে সহস্র শোকে,
শোক আসে, শোক যায়; বেঁচে থাকে মাটির মায়া
দেশ আমার, মাটি আমার মমতার অপার ছায়া।
১৬ ই ডিসেম্বর মেসেজ || বিজয় দিবসের বক্তব্য pdf
16 ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির কাছে একটি গৌরবময় ইতিহাসের দিন। আর এই দিনটির জন্য হাজারো বাঙালি জাতি অপেক্ষা করছিল। আর অবশেষে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আজকের এই বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তারা এত জঘন্য ছিল যে, বাঙালি জাতির উপর স্টিমরোলার চালিয়েছিল। আর এই যুদ্ধে 30 লাখ শহীদের বিনিময়ে 2 লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময় আজকের এই স্বাধীন দেশ আমরা পেয়েছি। দিনের পর দিন তারা আমাদের শাসন ও শোষণ করেছিল।
আর এই যুদ্ধে আমাদের দেশের আলো বাতাস খেয়ে কিছু রাজাকার আলশামস পশ্চিম পাকিস্তানের পা চাটা গোলামরা তাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। আর যার ফলে হাজারো লক্ষাধিক মানুষের জীবন ছিনিয়ে নিয়েছিল। আর এই দিনটিকে ভুলার মত নয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদার সহিত 16 ই ডিসেম্বর পালন করে আসছে।
আর তারই ধারাবাহিকতায় আবারো একটি আমরা 16 ই ডিসেম্বর পেয়েছি। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মানচিত্র উজ্জ্বল একটি দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। 16 ডিসেম্বরের মেসেজ নিম্নে রয়েছে যা আপনারা কপি করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। তাদেরকে জানিয়ে দিতে পারবেন এই গৌরবময় ইতিহাসের দিনটি সম্পর্কে। তাই চলুন আর অপেক্ষা না করেই 16 ই ডিসেম্বর এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক
মুক্ত পাখি, মুক্ত আকা্ মুক্ত আমি-তুমি। রক্ত দিয়ে কিনে নিলাম প্রিয় জন্মভূমি। মুক্ত মাটি, মুক্ত পানি, মুক্ত সোনার দেশ। মুক্তি সেনার রক্ত তো হবে না যে শেষ। যাদের রক্তে মুক্ত। স্বদেশ বিজয় এলো ঘরে। বিজয় দিনে আমরা তাদের ভুলব কেমন করে। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে একটা লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ। বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, পেয়েছি যে বিজয় নিশান । প্রয়োজনে আবার দেবো রক্ত ঠেলে, বজায় রাখতে বিজয়ের মান। মোদের দেহে থাকতে রক্ত, বৃথা যাবে না শহীদদের দান। মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে, দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই, আমি স্বাধীনতা কে চাই। আমি বিজয়ের পতাকা ধরে, সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই। মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
আজ” ১৬ ই” ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে যাদের মহান আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
মুক্তির লাল সবুজ উল্লাসে পাজরের বন্ধন গুলো অন্য আলোয় উদ্ভাসিত মাসের লালিত ক্ষোভের দাবানলে ক্ষয় হয়ে যাক মনের সব নীচতা, মৌনতা, হীনতা। সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা…
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ফেসবুক স্ট্যাটাস || বিজয় দিবস রচনা
আমরা এই পর্যায়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ফেসবুকে স্ট্যাটাস সম্পর্কে। আর এই বিষয়ে অনলাইনে অনেক প্রিয় পাঠকবৃন্দ সার্চ করছে। আর আপনারা যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনারা সঠিক জায়গায় এসেছেন।
আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই 16 ডিসেম্বর, আর এই 16 ডিসেম্বরকে ঘিরেই বাংলাদেশ নানারকম উৎসব অনুষ্ঠান পালিত হবে। লাখো শহীদের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। আর এই স্বাধীনতার রহস্য কমবেশি সবারই জানা রয়েছে। আমরা যে বাঙালি জাতি আমাদের দেশ বাংলাদেশ এ কথাটি আমরা সারা বিশ্বকে স্বাধীনভাবে জানিয়ে দিতে পেরেছি শুধু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে। আর তাদের স্মরণে আমরা 16 ডিসেম্বর নানা রকম মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকি।
বর্তমান সময়ে কমবেশি সব বয়সের মানুষজনেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে একে অপরকে বার্তা প্রেরণ করে। আর যেহেতু 16 ই ডিসেম্বর রয়েছে, তাই অনেক জন রয়েছে যারা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ফেসবুকে স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছে। আপনাকে আর অন্য কোথাও যেতে হবে না, আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ফেসবুকে স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ধন্যবাদ।
আপনার বা আপনার পরিবারের অসম্মানে আপনার যতটা কষ্ট হবে। তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এবং রাগ হবে আপনার দেশের অসম্মান হলে। তাই সর্বদা দেশকে সম্মান করুন এবং দেশের সম্মান রক্ষায় ব্রতী থাকুন। সবাইকে বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল সবুজের শুভেচ্ছা।
আসুন আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সব অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, সবাইকে আমাদের দেশের মহত্ত্ব বোঝাব, সঠিক অর্থে আমরা একজন বাংলাদেশী হয়ে উঠব। শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ।
বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।
প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরে মেলাবার আজই তো সময়, লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আস্বাদ। সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।