সেলফিন অ্যাপস

সেলফিন অ্যাপসে ইসলামিক একাউন্ট খুলুন মাত্র ৫ মিনিটে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আসসালামু আলাইকুম। ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার  মধ্যে সুদবিহীন একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। যা ১৯৮৩ সাল থেকে মানুষের সেবায় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কেউই আর তথ্য প্রযুক্তির বাইরে নয়। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে।মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে  এখন পৌঁছে দিচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। এমন এক সময় আসবে ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া কল্পনাও করা যাবে না। আর ইসলামী ব্যাংক এরেই ধারাবাহিকতায় “Banking and Beyond” এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে নিয়ে এসেছে দেশের ডিজিটাল ওয়ালেট সার্ভিস IBBL CelFin মোবাইল অ্যাপস।

 ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনাদের গুচ্ছিত হালাল টাকাগুলো কোথায় রাখবেন?তা নিয়ে একটি সংশয় থেকেই যায়। কষ্টের মাধ্যমে উপার্জিত টাকার কোন প্রকার  সুদ গ্রহণ করতে নারাজ। তাইতো ইসলামিক ব্যাংক সুদবিহীন লেনদেনের ব্যবস্থা করছে।ইসলামিক ব্যাংক এখন নিয়ে আসলো IBBL CelFin মোবাইল অ্যাপস। টাকা থাকবে এখন হাতের মুঠোয় নিরাপদ।ইসলামিক ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে হয় এই অ্যাপস এর মাধ্যমে। কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো নিবন্ধনটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

 CelFin মোবাইল অ্যাপসে একাউন্ট তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়বলি

 সম্মানিত পাঠকবৃন্দ CelFin মোবাইল অ্যাপসে একাউন্ট তৈরীর জন্য তিনটি প্রয়োজনীয় জিনিস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  1.  তা হল আপনার হাতের স্মার্টফোনটি।
  2.  ন্যাশনাল আইডি কার্ড।
  3.  একটি মোবাইল নম্বর।

  উপরোক্ত তিনটি জিনিস থাকলে, পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে CelFin অ্যাপসটি ডাউনলোড করে মাত্র কয়েক মিনিটে তৈরি করতে পারবেন ইসলামিক ব্যাংক একাউন্ট।

সেলফিন অ্যাপসে একাউন্ট তৈরির নিয়মবলি

 হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনারা কয়েক মিনিটের মধ্যে হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন একটি ইসলামিক ব্যাংকের একাউন্ট। তাই আর অপেক্ষা কেন? ঝটপট ঘরেই তৈরি করুন অ্যাকাউন্টি।

  1.  প্রথমে আপনাদের গুগল প্লে স্টোর থেকে CelFin অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
  2. CelFin অ্যাপসটি লগইন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে Registration ক্লিক করতে হবে। আপনার কাছে সরাসরি থাকা মোবাইল ফোনটির ১১ ডিজিটের সিম নম্বর প্রদান করতে হবে। গোপনীয় ৬ ডিজিটের পাসওয়ার্ডটি প্রদান করতে হবে।
  3. আপনি যে সিমটার নম্বর অ্যাপসে প্রদান করেছিলেন। এই নম্বরে একটি ফেরতি মেসেজ আসবে ৬ ডিজিটের OTP বা Verification কোড। উক্ত কোডটি অ্যাপস এর মধ্যে প্রদান করতে হবে।
  4. এরপর আপনাদের কাছে থাকা ন্যাশনাল আইডি কার্ডটির সামনের এবং পেছনের উভয় পৃষ্ঠের ছবি তুলতে হবে। লক্ষ দিতে হবে যে,কোনভাবেই ছবিগুলো ঝাপসা বা অস্পষ্ট না হয়।
  5. ন্যাশনাল আইডি কার্ডটি সাবমিট হওয়ার পর একটি ফর্ম আপনার সামনে প্রদর্শন করা হবে।ফরমটিতে সুন্দরভাবেই সবকিছু গোছানো আছে। ফরমটি পূরণ করতে যদি ভুল হয় তাহলে অন্য জনের পরামর্শ নেবেন। কিংবা নিজেই সংশোধন করে লেখার চেষ্টা করবেন। আপনার  পেশা এবং বর্তমান ঠিকানাটি অ্যাপসে সংযোজন করতে হবে।
  6. এখন আপনার একটা সুন্দর ফটো তুলতে হবে। তবে সাবধান! কোন প্রকার স্টাইলিশ চলবে না যেমনঃ চোখে সানগ্লাস বা দাঁড়িয়ে ফটো তোলা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, আপনি যে ভোটার আইডি কার্ডটি অ্যাপসে প্রদান করেছেন। তার সাথে যদি আপনার বর্তমান ফটোর মিল না থাকে তাহলে আপনি সমস্যা ফেজ করবেন। আর তখন ভেরিফিকেশনের সমস্যা দেখা দিবে। অবশ্যই আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের মত ফটো তোলার চেষ্টা করতে হবে।
  7. পরিশেষে আপনার কাছে থাকা ইমেইল এড্রেসটি এবং একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করুন। রেফারেন্স নম্বর অন্যের কাছে খোঁজ করুন। যদি না পান তাহলে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। রেফারেন্স নম্বর ব্যবহারের ফলে ২৫ টাকা পর্যন্ত একটা বোনাস পেতেন। তবে এখন উক্ত বোনাস আছে কিনা তা আমার সঠিক জানা নাই।

উক্ত সাতটি নিয়ম ফলো করলে আপনাকে Congratution মেসেজ প্রদান করা হবে।। এবং আপনার অ্যাকাউন্টি ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটিভ করা হবে। যদি কোন ক্রমে একটিভ না হয় তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, তিন দিনের মধ্যে একটিভ করানো হবে।

3 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *