টিপস ও ট্রিকস

ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় গুলো কি কি? পিসি স্লো হলে করনীয় কি হতে পারে।

tikes and tipes

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আচ্ছালামু আলাইকুম। বর্তমান সমায়ে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ছাড়া যেনো পৃথিবীই অচল। কারণ, কথাটার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই পৃথিবীতে যতো রকমের কাজ আছে তা সমাধান করার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সানিধ্য আসতে হয়।

বর্তমান সমায়ে বেকার যুবকদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য অনলাইনে নানারকম ইনকাম করার সাইট তৈরি হয়েছে। আর বেকার যুবকরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে উক্ত কাজগুলো করে ক্যারিয়ার গঠন করতেছে।

আজকের যুগে স্কুল কলেজর বেঞ্চে বসে লেখাপড়া করার দিন ফুরিয়ে এসেছে। এখন লেখাপড়া করার মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক। বাবা-মা কখনো চায় না তাদের ছেলে-মেয়ে পিছিয়ে পড়ুক। তাই তারা অর্থ ব্যায়ে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার কিনে দিচ্ছে। আর সেটি ব্যবহার করে যেনো তাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করতে পারে।

অফিস,আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গবেষনা,ইত্যাদি হাজারো কাজ করার জন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটার সাহায্য নিতে হয়।

যদি আপনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা সাধারণ কাজ করেন এমন সময় যদি আপনার ল্যাপটপটি স্লো হয়ে যায়। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে আপনার ভালো থাকার কথা নয়। কারণ, আমি নিজেই এই সমস্যাটি ফেস করছিলাম।

এমন পরিস্থিতিতে দেখা যায় কেউ কেউ আবার রাগ সামলাতে না পেরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের উপর টর্চার করে। আর ভাই সবুর করুন এতো অধৈর্য হলে তো হবে না। কারণ,লসটি কিন্তু আপনারই হচ্ছে।

তাই আমি আজকের আর্টিকেলে বলার চেষ্টা করবো। আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটি যেনো স্লো থেকে ফাস্ট করা যায় সে বিষয় নিয়ে। তাই চলুন যেনে নেওয়া যাকঃ- আর ততক্ষণে আমার সঙ্গেই থাকুন।

ল্যাপটপ স্লো হাওয়ার কারন

ল্যাপটপ স্লো হাওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। ল্যাপটপ স্লো হাওয়ার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে র‍্যাম কম থাকা। এসএসডির বিপরীতে হার্ডডিক্স ব্যবহার করলে ল্যপটপ স্লো হয়ে যাবে। আবার দূর্বল প্রসেসর ব্যবহার করার কারনেও কিন্তু ল্যপটপ স্লো হয়ে যেতে পারে।

স্লো ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায়

  • র‍্যাম আপগ্রেড করুন

র‍্যাম আপগ্রেড করুন

আমি সাজেস্ট করবো র‍্যাম কমপক্ষে ৮ জিবি পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ভাই অবাগ হাওয়ার কিছু নাই। কারণ,র‍্যাম তো আপনি কম্পিউটার গতি বৃদ্ধি করার জন্যই তো ব্যবহার করতেছেন। কিছু মানুষ আছে তারা বলে যে, আমি শুধু বেসিক কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। আমার আবার ৮ জিবি র‍্যাম ব্যবহার করার কি দরকার? বলটা যতোটা সহজ ভাবতেছেন কাজে কিন্তু তা প্রুভ করতে পারবোন না।

সামন্য কিছু উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা একটু বুঝিয়ে দেই। এই যে আপনি বেসিক কাজের জন্য কম্পিউটারটি ব্যবহার করতেছেন। আচ্ছা আপনি বলুন তো? আপনি কি ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও এডিটিং,ফটোশপ ইত্যাদি কাজগুলো করেন কি? হ্যাঁ,আপনার উত্তর হ্যাঁ আসবে। তাহলে এতো লাফাচ্ছেন কেন? ব্রাউজার যে ব্যবহার করবেন সেখানে তো ফায়ার বক্স,মজিলা র‍্যাম গিলে নিলো। ফটোশপ,ভিডিও এডিটিং করার জন্য সেখানে মিনিমাম ২জিবি র‍্যাম খেয়ে নিচ্ছে। আবার এদিকে টুকটাক কাজের জন্য র‍্যাম গিলে খাচ্ছে। তাহলে ভাই ধরেন বেসিক কাজের জন্যই কি স্বপ্ল র‍্যাম কোথায় গেলো? তাই আমি বলি আপনি মিনিমাম ৮জিবি পর্যন্ত র‍্যাম ব্যবহার করুন।

৪ জিবি থেকে ৮ জিবিতে উন্নতি করলে খরচ হতে পারে ২,১০০টাকার মতো। আর এর পারফরমেন্স তো ব্যবহার করার পর তো বুঝতেই পারবেন।

  • এসএসডি সংযোজন করুন

এসএসডি সংযোজন করুন

এসএসডি বা সলিড স্টেট ড্রাইভার কম্পিউটারে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। আপনার কম্পিউটার যদি স্লো হয়ে যায় তাহলে আপনি এসএসডি হার্ডডিক্স সংযোজন করুন। এসএসডি সবকিছুই দ্রুত বা ফাস্ট করে তোলে যেমনঃ প্রোগ্রাম চালু, শাট ডাউন, বুট করা, ইত্যাদি।

আপনি চাইলে বাজার থেকে ভালো মানের এসএসডি ক্রয় করে ল্যপটপ বা কম্পিউটারে সংযোজন করুন।

  • রিসাইকল ফোল্ডার ক্লিন করুন

অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আপনারা রিসাইকল ফোল্ডারে জমা করে রাখেন কিন্তু রিসাইকল ফোল্ডার ক্লিন করার মনে থাকে না। এতে করে কিন্তু অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থাকার কারনে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে। তাই সবসময় রিসাইকল ফোল্ডার ক্লিন করবেন।

  • টেম্প এবং রিফ্রেশ ফাইল গুলো ডিলিট করুন

আপনার ল্যপটপ বা কম্পিউটারে এমন অনেক ফাইল রয়েছে যা আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের গতি স্লো করে দেয়। তাই আপনার উচিত এসব ফাইল ডিলিট করা। এজন্য আপনাকে টেম্প ফাইলে যেতে হবে। সেখানে থাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডিলিট করে দিতে হবে। এবং শেষে রিফ্রেশ ফ্লোডারে গিয়ে ডিলিট করে দিতে হবে।

টেম্প এবং রিফ্রেশ ফাইল গুলো ডিলিট করুন

এর জন্য কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে
১. Windows+R বাটন ক্লিক করতে হবে।
২. Run এ ‘temp’ লিখে Ok অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. এই ইন্টারফেসটিতে temp থাকা সব ফাইল গুলো ডিলিট করে দিতে হবে।
৪. পরবর্তীতে Windows+R বাটন ক্লিক করে ডায়লগ বক্সে “prefetch”‘ লিখতে হবে এবং সব ফাইল ডিলিট করে দিতে হবে।
৫. Recycle Bin আসতে হবে,এবং সেখানে জমে থাকা সব ফাইল ডিলিট করে দিতে হবে।
উপরোক্ত স্টেপ গুলো গ্রহন করলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি অনেকটা ফ্রী হয়ে যাবে।

  • Start Up ফাইলে থাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো Disable করুন

আপনি যখন আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটি ওপেন করেন তখন দেখে থাকবেন কিছু কিছু প্রোগ্রাম চালু হয়ে যায় আপনা আপনি। আপনি জানেন কি?এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্লো করতে পারে। তাই এসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো গুলো ডিসএবেল করে দিন। ডিসএবেল করার জন্য কয়েকটি স্টেপ ফলো করুন।

msconfig
১. Windows+R বাটন ক্লিক করুন।
২. একটি ডায়লগ বক্স দেখতে পারবেন। সেখানে “msconfig” লিখে ইন্টার বাটন কিংবা Ok ক্লিক করুন।
৩. system configuration নামে একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন।
৪. এ পর্যায়ে আপনি “Startup” অপশনে ক্লিক করুন।
৫. এখন “open task manager” অপশন প্রেস করুন।
৬. এ পর্যায়ে আপনি দেখতে পারবেন আপনার কম্পিউটার চালু করার সমায় যেসব অ্যাপ্লিকেশন দেখতে পান তার চার্ট। যেগুলো প্রয়োজনীয় সেসব রেখে অপ্রয়োজনীয় গুলো ডিসএবেল করে দিন।

‘Apply’ অপশনে ক্লিক করে ‘ok’ এ অপশনে ক্লিক করুন। আর সেখান থেকে বের হয়ে আসুন। আর একটি কাজ হলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে ‘Restart’ করে নিন। তাহলে দেখা যাবে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অনেক ফাস্ট হয়ে যাবে।

আরোও পড়ুন

হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়

সেরা ক্যামেরের মোবাইল ২০২১

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২১

বিকাশ রিওয়ার্ড কি? আর কেমন করে পাবো?

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি?কিভাবে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করতে হয়?

টুইটার মার্কেটিং কি? কিভাবে টুইটার মার্কেটিং করতে হয়?

ডিক্স ক্লিনআপ করুন

কম্পিউটার অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বেশি ক্ষতি করে। অলসতা না করে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে ফাস্ট রাখার জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ক্লিন করুন। এই অপশনটি আপনি my computer/file explorer পেয়ে যাবেন। নিচে দেওয়া স্টেপগুলো ফলো করুন।
১. my computer/file explore এর মধ্যে গিয়ে c-drive এর মধ্যে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন। সেখানে ‘properties’ অপশনে ক্লিক করুন।
২. এ পর্যায়ে আপনি ‘Disk Cleanup’ ক্লিক করে ‘Ok’ বাটনে ক্লিক করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সব মুছে যাবে।

শেষ কথা
আপনি যদি আমার আর্টিকেলে পড়ে একটুও উপকৃত হন। তাহলে আমি নিজকে খুবই ধন্য মনে করবো। তাই আমার লেখা টিপস্ গুলো ফলো করুন যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে সুস্থ্য রাখতে চান। আমি জানি উপরোক্ত টিপস খুলো খুবই হেল্প ফুল হবে। এতোক্ষণ ধরে আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আবারও দেখা নতুন কোনো আর্টিকেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *