এসএসসি 2021 পৌরনীতি ও নাগরিকতা ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

SSC 2021 Assingment Solution

6th Week Assingment Solution/ ষষ্ট সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান

বিষয়ঃ পৌরনীতি ও নাগরিকতা(Politics and citizenship)

এসাইনমেন্ট এর শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো (কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন)বিশ্লেষণ/ Analysis of Administrative Structure of Bangladesh (Central  Administration and Field Administration)

অধ্যায়ঃ ষষ্ঠ

গ্রুপঃ মানবিক

বিষয় কোডঃ ১৪০

ক.বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ

রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের। রাষ্ট্রের ভিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির লক্ষ‍্য সুষ্ঠু প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই।সেজন্য প্রশাসনকে বলা হয় রাষ্ট্রের হৃদপিন্ড।

আমরা উপরে ছকে লক্ষ দিলে দেখতে পারবো প্রশাসনিক কাঠামো স্তরভিত্তিক। প্রথম স্তরটি হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় স্তরটি হল মাঠ প্রশাসন আবার মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশানের কয়েকটি ধাপ রয়েছে তারমধ্যে প্রথম ধাপে আছে বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে জেলা প্রশাসন। তৃতীয় ধাপে উপজেলা প্রশসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত।

দেশের সকল ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারাদেশে বাস্তবায়িত হয়।

এছাড়া প্রতি মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত আছে বিভাগ বা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের/দপ্তর প্রধান হলেন মহাপরিচালক/পরিচালক। মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরো আছে স্বায়ত্তশাসিত আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা,বোর্ড ও কর্পোরেশন।  অফিসের কোন কোনটির কার্যকলাপ আবার বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত।

খ.বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ

সচিবালয় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সকল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এখানে গৃহীত হয়। সচিবালয় কয়টি মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত। এক একটি মন্ত্রণালয় একজন মন্ত্রীর অধীনস্থ। আবার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের  একজন সুস্থ থাকে। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান এবং মন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা।

অতিরিক্ত সচিব মন্ত্রালয় দ্বিতীয় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা । তিনি সচিব কে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি অনুবিভাগের জন্য একজন যুগ্ম সচিব থাকে।  তিনি সচিব কে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে। মন্ত্রণালয় কর্মচারী এবং অফিস ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব পালন করে। মন্ত্রণালয়ের এক বা একাধিক শাখার দায়িত্ব থাকে উপসচিব।

প্রতি শাখায় একজন সিনিয়র সহকারী সচিব একজন সহকারী সচিব থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপসচিবের সাথে পরামর্শ করে দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, সরকারের কয়টি মন্ত্রলয় থাকবে এবং একটি মন্ত্রণালয়ের কতজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ন সচিব, উপসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব সহকারী সচিব থাকবে তার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।

গ.জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী বিশ্লেষণ

জেলা প্রশাসন স্থানীয় প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এর প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হলেন জেলা প্রশাসক। দেশের সব জেলায় একজন করে জেলা প্রশাসক রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সকল সরকারি কাজ পরিচালিত হয়। নিচে উল্লেখিত তার কাজগুলো সম্পর্কে জানব।

প্রশাসনিক কাজঃ জেলা প্রশাসক কেন্দ্র থেকে আসা সকল আদেশ নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে থাকে। জেলার বিভিন্ন অফিসের কাজ তদারকি করে।

রাজস্ব সংক্রান্ত ও আর্থিক কাজঃ জেলা প্রশাসক হলেন কোষাগারের রক্ষক পরিচালক। জেলার সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব তার কাছে, এ জন্য তিনি কালেক্টর নামে পরিচিত। এছাড়াও তিনি রেজিস্ট্রেশন, ভূমি উন্নয়ন, রাজস্ব সংক্রান্ত বিবাদ মীমাংসা সমাধান করে থাকে।

উন্নয়নমূলক কাজঃ জেলা প্রশাসক হলেন জেলার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যেমনঃ কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, রাস্তাঘাট ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়ন ইত্যাদি বাস্তবায়ন করে থাকে। আবার তিনি জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সাহায্য পুনর্বাসন ব্যবস্থা করে দেয়।

স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজঃ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদ কাজ তত্ত্বাবধান করে থাকে জেলা প্রশাসক। 

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কাজঃ জেলার মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের । তিনি পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে এ দায়িত্ব পালন করে থাকে।

জেলা প্রশাসকের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসাবে তিনি আরো অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। এই জন্য জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কাজের জন্য তাকে জেলার মূল স্তম্ভ বলা হয়। তিনি শুধু জেলা প্রশাসক নন। তিনি জেলার সেবক,পরিচালক ও বন্ধু।

 

Exit mobile version