ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের সময়সূচী,টিকিট কাউন্টারের ঠিকানা,ভাড়ার তালিকা এবং অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেম

ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের সময়সূচী,টিকিট কাউন্টারের ঠিকানা,ভাড়ার তালিকা এবং অনলাইন টিকিট বুকিং সিস্টেম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকে আমরা জানবো। সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আপনারা যারা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন। আর আপনারা যদি ট্রেনে যাতায়াত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনের সঠিক সময়সূচী সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেসব বিষয় জানানোর জন্য আজকের এই আর্টিকেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্রেনে যাতায়াত করার জন্য কোনরকম ঝামেলা পোহাতে হবে না। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুবই দ্রুত গতিতে যাওয়া যায়। দুর্ঘটনা এবং স্টেশন ব্যতীত ট্রেন সচারাচর কোথাও থামেনা। যারা শহরের জীবনে বসবাস করে একেবারেই অতিষ্ঠ। গ্রামীন জীবনকে খুবই কাছ থেকে উপভোগ করতে চান। কিংবা গ্রামের আলো হাওয়া খুব কাছ থেকে উপভোগ করবেন এসব নিয়ে চিন্তিত। তাহলে আপনারা ট্রেনের মাধ্যমে দূরে কোথাও ভ্রমণ করলে এসব প্রশান্তি পেয়ে যাবেন। আমরা সকলেই জানি যে, ট্রেন মূলত গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ দিয়ে যাত্রী চলাচল করে থাকে।
ট্রেনের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় ট্রেনের টিকিটের মূল্য খুবই সাশ্রয়ী। অন্যান্য যানবাহন যেমন নানা রকম জায়গায় গাড়ি থামাতে হয়। তেমন কোনো অসুবিধা হবে না ট্রেনের মধ্যে যদি যাতায়াত করেন। বিশেষ করে ট্রেনের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ের অনেক সাশ্রয় হবে। আপনার যারা দূরে কোথাও যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাদেরকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সাজেস্ট করবো ট্রেনে যাতায়াতের জন্য। ট্রেনের মধ্যে সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষজনই যাতায়াত করে থাকে। ট্রেনের মধ্যে চলাচল করলে আপনারা নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণ পেয়ে যাবেন।
ট্রেনের মধ্যে আপনারা সব ধরনের ফ্যাসিলিটি পেয়ে যাবেন যেমন নামাজ কালামের ব্যবস্থা, ওয়াশরুম এবং টয়লেটের ব্যবস্থা, এসি কিংবা নন এসি কেবিনের ব্যবস্থা, শুয়ে কিংবা বসে যাতায়াত করতে পারবেন এমনকি সর্বোপরি আপনারা খানাপিনার ব্যবস্থাও কিন্তু সেখানে পেয়ে যাচ্ছেন।

আর আমরা এসি কিংবা ননএসসির কথা বলছি যেখানে চাইলে আপনারা একাকী রুমে শুয়ে কিংবা বসে ভ্রমণ করতে পারবেন দূরের কথাও জায়গায়। এখানে নিম্ন ক্লাসের আসন থেকে শুরু করে উচ্চ ক্লাসের আসন পর্যন্ত আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী আপনারা যে কোন আসনে বসে যাতায়াত করতে পারবেন। এসব আসন প্রতি আপনাকে টাকা দিতে হবে।
আপনারা যারা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিট কাউন্টারের ঠিকানা এবং অনলাইন টিকিট বুকিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা যেন আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে। কারন আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের সময়সূচী,পোড়াদাহ টু ঢাকা
আপনারা যারা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা মূলত এই পর্যায়ে আলোচনা করব ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রেনের সময়সূচি সম্পর্কে। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামি দুটি আন্তঃনগর ট্রেন continute চলাচল করে থাকে।
আপনারা হয়তোবা সকলেই অবগত আছেন যে, আন্তঃনগর ট্রেনগুলো খুবই দ্রুতগতির হয়ে থাকে। আর এসব ট্রেনের ডেকোরেশন খুবই বিলাস বহুল এমনকি সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাবেন। আর যে দুটি অন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন (৭২৫) এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন (৭৬৩)। পোড়াদহ থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার সময় ২৩:৪০ এবং ট্রেন আগমনের সময় ৫:৪০। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার সময় ১১:৫৮ এবং আগমনের সময় ১৭:৪০।
নিম্নোক্ত টেবিলে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা থেকে আপনারা ট্রেনের সময়সূচি গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন ধন্যবাদ।
Train List | Off Day | Departure | Arrival |
Sundarban Express | Tuesday | 23:40 | 5:40 |
Chitra Express | Monday | 11:58 | 17:40 |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন (৭২৫)
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন হচ্ছে অন্তঃনগর একটি ট্রেন। আর এই ট্রেনের কোড নং হচ্ছে (৭২৫)। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে যাত্রীদের নিয়মিত পোড়াধাও স্টেশনে এমনকি বিপরীতভাবে পড়াদহ থেকে ঢাকা নিয়ে আসে। আর এই ট্রেনটি পড়াদহ থেকে ছাড়ার সময় ২৩:৪০ মিনিট এবং ঢাকায় পৌঁছে ৫:৪০। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার।
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড নং হল (৭৬৩)। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীদের নিয়মিত ঢাকা থেকে পোড়াদহ এবং বিপরীতভাবে পড়া দহ থেকে ঢাকায় যাত্রীদের নিয়ে যায়। পোড়াদহ স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি ছাড়ে ১১:৫৮ মিনিটে এবং ঢাকা স্টেশনে পৌঁছায় ১৭:৪০ মিনিটে। আর এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার।
পোড়াদহ থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ট্রেনের টিকিটের মূল্য
আমরা এই পর্যায়ে জানার চেষ্টা করব ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে। আপনারা যারা অধীর আগ্রহ নিয়ে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে আমরা এই পর্যায়ে জানিয়ে দেবো। সীমিত মূল্যের মাধ্যমে আপনারা একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। সস্তা টিকিটের মূল্য এবং নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য আমরা ট্রেনকে সাজেস্ট করবো। এক ধারে যেমন টিকিটের মূল্য খুবই কম এবং অন্য পাশে সময় অনেক সাশ্রয় হবে।
অন্যান্য যানবাহনের মত ট্রেন কোথাও থামে না। তাই আপনাদের গন্তব্যস্থলে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিবে ট্রেন। আর এই পর্যায়ে আমরা জানবো ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া গামী ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে না জানলে অনেক রকম বিভ্রান্তির শিকার হতে হয়। আর আপনাদের বিভ্রান্তি বসানোর জন্য আমরা এই পর্যায়ে টিকিটের মূল্য সম্পর্কেই জানিয়ে দেবো। বিভিন্ন শ্রেণী অনুযায়ী টিকিটের মূল্য গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আমরা আনুমানিকভাবে টিকিটের মূল্য গুলো টেবিল এর মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো। টিকিটের মূল্য কম বা বেশি হতে পারে তাই আপনারা যারা টিকিট সংগ্রহ করবেন বর্তমান সময়ের দাম অনুযায়ী টিকিটগুলো সংগ্রহ করবেন। আর আমরা যতটুকু পারি এই বিষয়ে আপডেট করে দেব ধন্যবাদ।
Seat Category | Ticket Price |
Shuvon | 300 TAKA |
Shuvon Chair | 360 TAKA |
First Seat | 480 TAKA |
First Berth | 720 TAKA |
Snigdha | 600 TAKA |
AC | 720 TAKA |
Ac Berth | 1080 TAKA |
হাইলাইট পয়েন্ট হচ্ছে যে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া দূরত্ব ট্রেনের মাধ্যমে ১৩২. ৭৯ কিলোমিটার।